যেহেতু খতমে নবুওয়াত বিষয়ে আলোচনা ও পুস্তক রচনার কারণ মীর্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর দাবি এবং নানাবিধ উক্তি। তার দাবি ও উক্তিসমূহ এতই পরস্পর বিরোধী যে, তার অনুসারীরাও তার দাবি সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট ধারণা করতে সক্ষম হচ্ছে না। কোন কোন সময় মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য মীর্জা কাদিয়ানীর এসমস্ত উক্তি উপস্থাপন করা হয়, যাতে খতমে নবুওয়তের স্বীকৃতি রয়েছে এবং তার ব্যাখাও ঠিক তাই বর্ণনা করা হয়, যা মুসলিম উম্মাহর আক্বীদা। এসমস্ত উক্তি উপস্থাপন করে অজ্ঞ মুসলমানদেরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করা অথবা প্রয়োজনানুযায়ী স্বীয় জামা’আতকে ইসলামি মিল্লাতের সাথে সংযুক্ত ছাড়া এর আর কোন উদ্দেশ্যই থাকতে পারে না। অথচ সে ব্যাখ্যা নিশ্চিতভাবেই বাস্তব অবস্থার বিরোধী। এজন্য খতমে নবুওয়ত সম্পর্কে দলীল-প্রমাণ এবং খাতিমুন নাবিয়্যীনের উপর বিস্তারিত আলোচনা পেশ করার পূর্বে মীর্জা কাদিয়ানী ও তার প্রতিনিধিদের আসল বর্ণনার দ্বারা খতমে নবুওয়ত সম্পর্কে প্রকৃত চিন্তা ও বিশ্বাস কি তা প্রকাশ করা আবশ্যক। অতপর উম্মতে মুহাম্মদির প্রতি তাদের ব্যবহার ও আচরণ পর্যায়ে তাদের কোটি কোটি বাক্য ও উক্তি উদ্ধৃত করে প্রাসঙ্গিক আলোচনা শেষ করা যাবে।
খতমে নবুওয়ত সংক্রান্ত বিশ্বাস ও অবিশ্বাস, খতমে নবুওয়তের অর্থ এবং নবুওয়ত ও ওহীর দাবি সম্পর্কে মীর্জা সাহেবের উক্তিসমূহের মধ্যে যদি কোন যৌক্তিকতা ও সামঞ্জস্য বিধান করতে হয় তবে তা শুধু এভাবেই হতে পারে যে, তাকে বিভিন্ন জীবনকাল এবং বিভিন্ন যুগের সাথে সম্পর্কযুক্ত বলে স্বীকার করে নিতে হবে। এতে গভীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে দেখা যাবে যে, এ বিষয়ে মীর্জা সাহেবের উপর দিয়ে তিনটি অধ্যায় অতিবাহিত হয়েছে।